প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: ' গত তিন দিনের বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে পানিতে ডুবে গেছে শত শত বিঘা জমির আধাপাকা বোরো ধান। এসব ইউনিয়নের নদী অববাহিকায় এবং মরাখাল সংলগ্ন এলাকার জলমগ্ন থাকা পাকা ধানগুলোর অর্ধেকটা এখন চিটা হয়ে গেছে। বিপাকে পরে বাধ্য হয়েই সেই আধাপাকা ধান কেটে নিচ্ছে কৃষক।'
* সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তম্মধ্যে সদর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। সদরে ২৫ভাগ ধান ইতোমধ্যেই কর্তন করা হয়েছে অবশিষ্ট ধানগুলো এখনো জমিতে পড়েই রয়েছে। এসব ধান নিয়ে এখন চিন্তিত কৃষক।টানা তিনদিন অফিস বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত কৃষি বিভাগের নিমজ্জিত বোরোধানের পরিসংখ্যানের তালিকা করতে পারেনি।সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক আবেদ আলী জানান, গত তিনদিনের বৃষ্টিতে আমার আড়াই একর আধাপাকা ধান তলিয়ে গেছে। অতিরিক্ত দামে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছি আধাপাকা।
/ বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে ধান নষ্টের আশঙ্কা /
* একই এলাকার ছত্রপূর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী ও বাজারপাড়ার হাবিবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে তলিয়ে যাওয়া ধানগুলোর অর্ধেকটা চিটা হয়ে গেছে। এখন দুই মনের মধ্যে এক মন পাওয়া যাবে কিনা তানিয়ে চিন্তিত রয়েছি। কোথাও কোথাও শুধুমাত্র গরুর খড়ের জন্য ধান কাটা হচ্ছে।সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন মিয়া জানান, টানা বৃষ্টির কারণে আমার পাঁচগাছী ইউনিয়নের অধিকাংশ কাচা-পাকা ধান তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ধান উদ্ধারে বাধ্য হয়ে কাচাপাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।
' কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর সবুর মিয়া জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত তিনদিনে জেলায় ২০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে আগামী ২/৩ দিন উত্তরাঞ্চলে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।'